মোঃ ইউসূফ মোল্যাঃ
আজ ৬ অক্টোবর ২০২৪, সকাল ১১ টায় কৃষকদের উদ্যোগে বিল ডাকাতিয়ার পানি নিষ্কাশনের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করেন ।
এর আগে পানি নিষ্কাশনের বিল ডাকাতিয়া পানি নিষ্কাশন আন্দোলন কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনীম জাহান, ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার, দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ শিপলু, মনিরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক নেতৃবৃন্দ।
এই আহবায়ক কমিটি মাধ্যমে গোটা বিল ডাকাতিয়ার পার্শবর্তী সকল গ্রামকে নিয়ে আন্দোলন কমিটি গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কৃষকরা মনে করেন বিল ডাকাতিয়ার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে সকল কৃষক মৎস্য ঘের, ধান ও সবজি ফালাতে পারবে। কৃষকদের জীবনমান উন্নত হবে। পরে কৃষকরা বলেন দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ সময় স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন। আপনার মাধ্যমে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে, খুলনা-যশোর অঞ্চলে অবস্থিত বিল ডাকাতিয়া যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল। এ অণমূলের ৬টি উপজেলার মোট চাষাবাদযোগ্য ৩০ হাজার একর জমি রয়েছে। এ সকল জমির মধ্য দিয়ে শোলমারী, হরি, হামকুড়া, সালতা,ভৈরব, ভদ্রা নদীসহ মোট ১১টি নদী প্রবাহিত হয়েছে। এক সময়ে খুলনার বিল ডাকাতিয়া কৃষিজীবি মানুষের আশীর্বাদ ছিল। ইতিমধ্যে বিল ডাকাতিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ১১টি নদীর সবগুলোই ভরাট হয়ে যাওয়ার বিল ডাকাতিয়ার পনি নামার একমাত্র নদী শোলমারী নদীটি এখন পরিপূর্ণ ভরাট হয়ে যাওয়ার জলাবদ্ধতার কারণে এখন বিল ডাকাতিয়া স্থানীয় মানুষের অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা অংশের বিল ডাকাতিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পনি বের হওয়ায় একমাত্র নদী শোলমারী নদীটির সুইচগেটের একপাশে জলাবদ্ধতা, অন্যপাশে পলি মাঠিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় ভেসে গেছে সোয়া তিন হাজার হেক্টর জমি, ৮ হাজার ২৫০টি মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে খেতের ফসল, কয়েক হাজার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিল ডাকাতিয়ার প্রান্তিক মাছচাষিরা। এবং চরম ভোগান্তিতে এ সকল এলাকার লাখ লাখ লাখ মানুষ। এক সময়ে কৃষিজীবি মানুষের আর্শীবাদ হয়ে উঠেছিল খুলনার ডাকাতিয়া বিল। কিন্তু সেই চিত্র পাল্টে গেছে। স্থায়ী জলাবদ্ধতা আর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে তলিয়ে গেছে বিলের জমি। আর বৃষ্টির সময়ে মরার ওপর খড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়। জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে স্থায়ী সমাধানের দাবি এখানকার মানুষের। আরো উল্লেখ করেন আপনার মাধ্যমে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের কাছে জানাতে চাই উল্লেখিত বিষয়ে, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে ক্ষতিগ্রন্থ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এবং এর সকল দায়-দায়িত্ব আপনাদের উপর বর্তাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন