ইব্রাহিম খলিল
খুলনা জেলার জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৬ টি।৬টি আসনের মধ্যে ১৯৭৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১২ টি সংসদ নির্বাচনে খুলনার দাকোপ- বটিয়াঘাটা নিয়ে গঠিত ৯৯,খুলনা-০১ সংসদীয় আসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন। এই আসনটি ১৯৭৩ সাল থেকে আওয়ামীলীগের আসন হিসাবে খ্যাত।এই আসনে বেশিরভাগ ভোটার হিন্দু ধর্মের হওয়ায়, এই আসনটি বার বার আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীর জয়ী হয়েছে।
গত ৫ই আগষ্ট সৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর এই আসন নিয়ে নানা রকম জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে কে হতে পারে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত এই আসনে আগামীর এমপি।
ইতিমধ্যে এই আসনটিতে প্রচার প্রচারণা,লিফলেট বিতরণ, ব্যানার, পোস্টার,পথসভা, কর্মীসভা সহ নানান কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার থেকে গড়ে উঠা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশি বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গণঅধিকার পরিষদের পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী , বটিয়াঘাটার সন্তান জিল্লুর রহমান সুমন।
২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে জুলাই আগষ্টে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ কে, সাধারণ ভোটার ও সচেতন নাগরিক সমাজ সহ রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে ও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হিসাবে সাড়া ফেলেছে গণঅধিকার পরিষদ ও ভিপি নুরুল হক নুর।
আওয়ামী লীগ অধ্যষিত খুলনা-১ আসনে এিয়োদশ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকায় এই আসনটি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে নানান হিসাব নিকাশ চলছে। এই আসনটি ২০০১ সাল থেকে শক্ত অবস্থান আছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একক প্রার্থী সাবেক খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির ইজাজ খান।
গত ৩টি নিবাচনে অংশগ্রহণ করলে ও বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে।
বিএনপির বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী আলাদাভাবে নিবাচন করায় এই আসনে জামায়াত ইসলামী একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে শেখ আবু ইউসুফ কে।
এছাড়া প্রভাবশালী আরো কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে এই আসনে।
গণঅধিকার পরিষদের এই আসনে আরো একজনের প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে খুলনা মহানগর গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিদার শিকদার। তবে স্থানীয় দাকোপ, বটিয়াঘাটা গণঅধিকার পরিষদের ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের মধ্যে থেকে দাবি করা হচ্ছে জিল্লুর রহমান সুমনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হলে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিল্লুর রহমান সুমন কে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবেন। তারা আশাবাদী যোগ্য প্রার্থী ও কমীবান্ধব নেতা হিসাবে ট্রাক মার্কার যোগ্য ব্যক্তি জিল্লুর রহমান সুমন কে মনোনয়ন দেওয়া হলে এই আসনটি ট্রাক মার্কা প্রতিকে জয়যুক্ত করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর কে আসনটি উপহার দিতে পারবেন।স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতামত অনুসারে দলীয় মনোনয়নে দৌড়ঝাপে বিদার শিকদারের থেকে এগিয়ে আছেন জিল্লুর রহমান সুমন।
সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত নির্বাচন গুলোতে ভোট না দিতে পারার ক্ষোভের কথা,তাদের দাবি একটাই আগামী এিয়োদশ নিবাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষের মাধ্যমে এলাকায় উন্নয়ন করতে পারবে এমন যোগ্য প্রাথীকে তারা বেচে নিতে চাই।এজন্য সকলে ব্যক্ত করেছেন আগামী নিবাচন যেন নিরপেক্ষ একটি নিবাচনের ব্যবস্থা করা হয় এব্যপারে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন