দিঘলিয়ায় নিখোঁজের তিন দিন পর শিশু জিসানের মরদেহ উদ্ধার, এলাকায় শোকের ছায়া , ঘটনার মূল আসামি ফয়সালকে আটক করেছে। - daily shadhinceta

এখানে আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন

সংবাদ শিরোনাম

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫

দিঘলিয়ায় নিখোঁজের তিন দিন পর শিশু জিসানের মরদেহ উদ্ধার, এলাকায় শোকের ছায়া , ঘটনার মূল আসামি ফয়সালকে আটক করেছে।

 


 দিঘলিয়া প্রতিনিধিঃ


দিঘলিয়ায় দৌলতপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন মন্ডল জুট টেক্সটাইল মিলের কলোনিতে নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ বছর বয়সী শিশু জিসানের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী দিঘলিয়া কন্টিনজেন্ট ও দিঘলিয়া থানা পুলিশ।

নিহত জিসান (৭) মন্ডল জুট মিলের ম্যাকানিক্যাল বিভাগের শ্রমিক আলমগীর হোসেনের ছেলে। তারা মিলের কলোনি এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার   জিসান বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি ও স্থানীয়ভাবে মাইকিং ও পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেও শিশুটির কোনো সন্ধান মেলেনি।

গতকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌবাহিনী ও দিঘলিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে দৌলতপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন একটি টিম ঘেরা বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে মাটিতে গর্ত করে পোতা ও পাতা ও ডালপালা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় জিসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশ  সূত্রে  জানা যায়  আব্দুল হান্নানের পুত্র ফয়সাল (২৭) কে খালিশপুর থানা পুলিশ আটক করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে শিশু জিসান (৭) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, বাড়িতে বসবাস করতেন মোঃ আব্দুল হান্নান শেখ  ও তার ছেলে। আব্দুল হান্নান শেখের দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট এলাকায় একটি মুদি দোকান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে দোকান বন্ধ এবং বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখা যায়। উদ্ধারকৃত মরদেহটি বাড়ির পূর্ব- উত্তর  কোনায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা ছিল। শিশুটির দুই হাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে।নৌবাহিনী ও দিঘলিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যার সঠিক কারণ জানা যায় নি।

ঘটনার পর পুরো এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোক ও ক্ষোভের ছায়া। এলাকাবাসী এ ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। ছেলের পিতা মোঃ আলমগীর জানান, আমি মন্ডল জুট টেক্সটাইল মিলের  মেকানিক্যাল বিভাগের শ্রমিক। বৃহস্পতিবার থেকে আমার ছেলেকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। এ বিষয়ে থানায় জিডি ও মাইকিং করা হয়েছে। গতকাল পুলিশ ও নৌবাহিনী যৌথ প্রচেষ্টায় আমার ছেলের লাশ খুঁজে পেয়েছি। আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ অঞ্চল সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, গত বৃহস্পতিবার দিঘলিয়া থানায় শিশু নিঁখোজ মর্মে জিডির ভিত্তিতে একটা বাড়ির ভেতরে পুতে রাখা অবস্থায় গতকাল শনিবার বিকালে উদ্ধার করি এবং লাশ উদ্ধার পরবর্তী পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। অপরাধী ফয়সালের বিরুদ্ধে এর আগেও লোমহর্ষক একাধিক ঘটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here