দিঘলিয়ায় সাংবাদিক শামীমের বাড়িতে প্রবেশ করে দেখে নেওয়ার হুমকি - daily shadhinceta

এখানে আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন

সংবাদ শিরোনাম

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫

দিঘলিয়ায় সাংবাদিক শামীমের বাড়িতে প্রবেশ করে দেখে নেওয়ার হুমকি

 


শামীমুল ইসলামঃ

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দেয়াড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিক এস.এম. শামীমের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে অশালিন ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে একই এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তি।


দিঘলিয়া থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে সাংবাদিক শামীমের মামাতো বোন সেলিনা বেগম ও তার স্বামী বাদশা মিয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ অক্টোবর সেলিনা বেগম তার স্বামী বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিঘলিয়া নৌবাহিনীর বরাবর দায়ের করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পর নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে নৌবাহিনী ক্যাম্পে উপস্থিত হতে বলা হয়। ওই সময় সেলিনা বেগম তার ফুপাতো ভাই সাংবাদিক এস.এম.শামীমকে সঙ্গে নিয়ে নৌবাহিনীর অফিসে যান। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সাংবাদিক শামীমকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন পারিবারিকভাবে বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করেন। সাংবাদিক শামীম তখন এক সপ্তাহ সময় নিয়ে মীমাংসার আশ্বাস দেন।

কিন্তু ঘটনার দুই দিন পর অর্থাৎ ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাদশা মিয়া সাংবাদিক শামীমের বাড়িতে প্রবেশ করে অশালিন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যান।


সাংবাদিক শামীম জানান, ঘটনাটির সময় তিনি গোপন ক্যামেরায় বাদশা মিয়ার কথোপকথনের কিছু অংশ রেকর্ড করে রাখেন। ওই ভিডিও প্রমাণ তিনি ইতোমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করেছেন।


ঘটনার পর দিঘলিয়া থানায় বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিক শামীম। এ বিষয়ে দিঘলিয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এদিকে, একজন গণমাধ্যমকর্মীর বাড়িতে প্রবেশ করে গালিগালাজ ও হুমকি প্রদানের ঘটনায় দিঘলিয়া ও খুলনা জেলার সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেন একজন সাংবাদিকের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়া মানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।


তারা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here