শেখ শামীমুল ইসলাম, দিঘলিয়া খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি চৌকস আভিযানিক টীম ১ জানুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে খুলনা মহানগরীর ত্রাস, সন্ত্রাসীদের গডফাদার (১) নুর আজিম (২৮), পিতা-শানু মহরী, সাং-দক্ষিণ টুটপাড়া ৮/১ মহিরবাড়ী মোড়, ইস্ট সার্কুলার রোড, থানা-খুলনা সদর এবং তার সহযোগী সন্ত্রাসী (২) রিয়াজুল ইসলাম দাদা মিয়া (৩৫), পিতা-বাবুল মাতুব্বর, সাং-গোয়াবাড়িয়া মাতুব্বর বাড়ি, থানা-মোড়েলগঞ্জ, জেলা বাগেরহাট, এ/পি সাং-নিরালা কাশেমনগর, থানা-খুলনা সদর, খুলনাদ্বয়কে গ্রেফতার করেছে।
নুর আজিম বাহিনী প্রধান সন্ত্রাসী নুর আজিম এবং তার সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অস্ত্র-গোলাবারুদ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে। তাদের প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ খুলনা সদর থানাধীন দক্ষিণ টুটপাড়া এবং পূর্ব বানিয়াখামার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ টি বিদেশী একনলা ১২ বোর এর কাটা বন্দুক, ৪ রাউন্ড কার্তুজ এবং ২ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগজিনসহ ১ টি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে তাদের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত অবৈধ অস্ত্র দ্বারা সাম্প্রতিক সময়ে কোন অপরাধজনক ঘটনা সংঘটিত করেছে কিনা। আসামীদ্বয়কে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের উৎস, উদ্ধারকৃত অস্ত্র কোথায় কোথায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়েছে, কোথাও ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল কিনা, আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে কারা জড়িত এর মূল রহস্য উদঘাটনপূর্বক জড়িত অন্যান্য সহযোগী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতারের এবং আরো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে ।
সন্ত্রাসী গডফাদার নুর আজিম খুলনা মহানগরী এলাকায় নিজ নামে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, হত্যা, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশনসহ অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুলও এলাকায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি এবং টাকার বিনিময়ে কিলিং মিশন চালাতো। তাদের গ্রেফতারের ফলে মহানগরীর জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
গ্রেফতারকৃত নুর আজিম মহানগরীতে ত্রাস সৃষ্টিকারী ১২ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর গডফাদার। তার বিরুদ্ধে খুলনা মহানগরীসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি এবং মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের ১১ টি মামলা রয়েছে। অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩ টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন